Wednesday, November 25, 2020

█▒▒▒ ঢাবি ভর্তি আপডেট ২০২০-২১ ▒▒▒▒█


গত ২০ অক্টোবর ২০২০ তে ডিন'স কমিটির নেওয়া এ বছরের ঢাবি ভর্তির প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তে অল্প কিছুটা পরিবর্তন এনে তা অনুমোদন করেছে প্রথম বর্ষ ভর্তি কমিটি। পরিবর্তিত সিদ্ধান্তে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তাবিত মানবণ্টনে পরিবর্তন এনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৮০ নম্বরের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত— এই মোট ৮০ নম্বরের মূল পরীক্ষা হবে। ইতোপূর্বে ৫০ নম্বরের লিখিত এবং ৩০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেইসাথে জিপিএ এর বিষয়টি ক্লিয়ার করে বলা হয় যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের উপর ১০ করে ২০ নম্বর থাকবে।
এছাড়া অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো অপরিবর্তিত রাখা হয়। আর পাশমার্কের বিষয়টি ক্লিয়ার করে বলা হয় যে, ভর্তি পরীক্ষার পাশ মার্ক হবে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ।
♦ এই মিলে সর্বশেষ আপডেট হলো→
• দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
• ২০০ নম্বরের পরিবর্তে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
• মূল ভর্তি পরীক্ষা হবে ৮০ নম্বরের এবং ২০ নম্বর থাকবে এসএসসি ও এইচএসসি এর জিপিএ এর উপরে (এসএসসি ১০ এইচএসসি ১০)।
• ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত।
• ভর্তি পরীক্ষার পাশ মার্ক হবে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ অর্থাৎ সম্মিলিত পাশ মার্ক হবে ৩২ নম্বর।
২৩ নভেম্বর ২০২০ তে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি এসব বিষয় চূড়ান্ত করে। তবে এই ৮০ নম্বরের পরীক্ষার ভিতরের মানবণ্টন কীরূপ হবে অর্থাৎ কোন কোন বিষয় থেকে কত কত মার্কের প্রশ্ন হবে এবং বিষয়ভিত্তিক পাশ মার্ক কত কত হবে তা এখনও চূড়ান্ত করে জানায়নি ঢাবি ভর্তি কমিটি। আর পরবর্তী আপডেট পাওয়ামাত্র জানানো হবে। তাই এর আগেই অধৈর্য্য হবে এই বিষয়ে বারবার প্রশ্ন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)
"বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রাইভেট প্রোগ্রাম"
(বিএ/ বিএসএস)
A Project by
Md. Mahadi Hasan
Phone: 01746315639

Friday, November 13, 2020

২০২০-২১ সেশনে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষার নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়→


২০১৯ সালে প্রণীত নতুন নিয়মেই এবছরেও ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ১০০ নম্বরের পরীক্ষা বলতে আসলে ১০০ নম্বরের স্কোরিং হবে যেখানে ২০ নম্বরের স্কোর থাকবে এসএসসি এবং এইচএসসি'র জিপিএ এর উপরে আর ৮০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে; যেখানে ৮০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ৩০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে এই ৫০ নম্বরের লিখিত ও ৩০ নম্বরের এমসিকিউ এর প্রশ্নের মানবণ্টন কীরূপ হবে তা এখন চূড়ান্ত করে জানায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এর পূর্বের বছরগুলোতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের স্কোরিং করা হতো যায় মধ্যে ৮০ নম্বর থাকতো এসএসসি এবং এইচএসসি'র জিপিএ এর উপরে ('এসএসসি × ৬ + এইচএসসি × ১০' এই পদ্ধতিতে) এবং ১২০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হতো। গতবছর তথা ২০১৯ সালে এমসিকিউ এর পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা চালু করা হয় সেখানে ৭৫ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪৫ লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।
কিন্তু এবছর সেই পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না। এবছরের জন্য যে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে ২০ নম্বরের জিপিএ স্কোরিংয়ে এসএসসি এবং এইচএসসি'র জিপিএ স্কোরিং কত কত করে হবে তা এখনও চূড়ান্ত করে জানায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে এবছর ভর্তি পরীক্ষাগুলো বিভাগীয় পর্যায়ে নিবে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; অর্থাৎ ভর্তি পরীক্ষার্থীরা নিজের বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে।
আর ঢাবিসহ মোট পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে। তারা নিজস্ব সতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিবে। এই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো— ঢাবি, রাবি, চবি, জাবি এবং বুয়েট।

যাহোক, তোমরা একটা বিষয় জেনে রেখো যে— ২০২০-২১ সেশনে ঢাবির ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার এই সিদ্ধান্তে ঢাবি তাদের ভর্তি পরীক্ষার মার্ক কমিয়েছে মাত্র, সিলেবাস কিন্তু কমায়নি, সিলেবাস আগের মতোই আছে। তাই সিলেবাস ফলো করে ভালো করে প্রস্তুতি নাও।
আর কোনোকিছু জানার থাকলে ও কোনো পরামর্শ প্রয়োজন হলে আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারো।

Thanks | ধন্যবাদ

DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)
"বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রাইভেট প্রোগ্রাম"
(বিএ/ বিএসএস)
A Project by
Md. Mahadi Hasan
Phone: 01746315639

Monday, September 7, 2020

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সম্পর্কিত কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর→


ফেসবুকে আমার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার পরামর্শ বিষয়ক পেজ থাকায় প্রায়ই ইনবক্সে এমন কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হই যেগুলো বলতে গেলে একেবারে কিছুই জানে না এমন ছেলেমেয়েরা প্রশ্ন করে থাকে যেগুলোর উত্তর দিতে গেলে অনেক্ষণ ধরে মেসেজ টাইপ করতে হবে। সেইসাথে বেশকিছু অ্যাডভান্সড শিক্ষার্থীদের অ্যাডভান্সড টাইপের প্রশ্নও পেয়ে থাকি। তাই এখন এরূপ কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর এখানে দিলাম এবং কেউ ইনবক্স করলে কপি-পেস্ট করে রিপ্লাই দিবো। এসো দেখে নেওয়া যাক সেসব প্রশ্নের উত্তর।

প্রশ্ন—১ : মানবিকের ছাত্র হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে কী করতে হবে?
→ মানবিকের ছাত্র হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মানবিকের ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে চাঞ্চ পেতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিকের মাত্র একটা ইউনিট আছে সেটা হলো "খ" ইউনিট; এটিতে পরীক্ষা দিলেই মানবিকের সব সাবজেক্টের জন্য পরীক্ষা দেওয়া হয়ে যাবে (অবশ্য বিভাগ পরিবর্তন নামে "ঘ" ইউনিট আছে, সেখানেও মানবিকের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে এছাড়াও চারুকলা অনুষদেও পরীক্ষা দেওয়া যায়) আর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিকেরই একাধিক ইউনিট রয়েছে যেমন— কলা অনুষদের বিষয়গুলোর জন্য একটা ইউনিট, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিষয়গুলোর জন্য একটা ইউনিট। আইন অনুষদের একটা বিষয়ের জন্যই একটা ইউনিট ইত্যাদি।
এছাড়াও বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে "ঘ" ইউনিট এর মতো বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট থাকে, সেখানেও মানবিকের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে। আর কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট থাকে না, সেখানে বেশিরভাগই ওপেন ইউনিট থাকে যেগুলোতে সবাই পরীক্ষা দিতে পারে এবং শুধু সায়েন্সের জন্য কিছু সায়েন্স রিলেটেড ইউনিট থাকে যেগুলো শুধু সায়েন্সের শিক্ষার্থীদের জন্য, যেমন— অ্যাপ্লাইড সায়েন্স অনুষদ (ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি, ম্যাথ ইত্যাদি বিষয়ের জন্য), ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ (প্রকৌশলের সাবজেক্টগুলোর জন্য)।
এছাড়াও Environmental Science তথা পরিবেশ বিজ্ঞান নামক বিজ্ঞানের অনুষদে বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য সবাই পরীক্ষা দিতে পারে। তেমনি অন্যান্য অনুষদেও (আর্টস, সোশ্যাল সায়েন্স, BBA) সবাই পরীক্ষা দিতে পারে।
এক্ষেত্রে আসন বরাদ্দের বিষয়টিতে শিক্ষার্থীদের HSC গ্রুপকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। যেমন— মানবিকের অনুষদে অধিকাংশ ছাত্র নেওয়া হয় মানবিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আর অল্প কিছু ছাত্র নেওয়া হয় বিজ্ঞান ও বাণিজ্য ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে। এতে কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে কতজন ছাত্র নেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা থাকে এবং একই ইউনিটের মেরিট লিস্ট তিনটা হয়ে থাকে; মানবিক ব্যাকগ্রাউন্ডদের একটা মেরিট লিস্ট, বিজ্ঞান ব্যাকগ্রাউন্ডদের একটা মেরিট লিস্ট, বাণিজ্য ব্যাকগ্রাউন্ডদের একটা মেরিট লিস্ট এবং নির্দিষ্ট মেরিট লিস্ট থেকেই নির্ধারিত আসন পূর্ণ করা হয়। যেমন ধরো একটা কলা অনুষদের পরীক্ষায় সেই ইউনিটে যেসব বিষয় আছে তার প্রতিটিতে ৬০ টি করে আসন আছে। তার ৬০ টি আসনের ৪০ টি নেওয়া হয় মানবিক ব্যাকগ্রাউন্ডের মেরিট লিস্ট থেকে, ১০ টি নেওয়া হয় বিজ্ঞান ব্যাকগ্রাউন্ডের মেরিট লিস্ট থেকে এবং ১০ টি নেওয়া হয় বাণিজ্য ব্যাকগ্রাউন্ডের মেরিট লিস্ট থেকে।
তেমনিভাবে বাণিজ্য অনুষদে অধিকাংশ ছাত্র নেওয়া হয় বাণিজ্য ব্যাকগ্রাউন্ডের ও অল্প কিছু ছাত্র নেওয়া হয় মানবিক ও বিজ্ঞান ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে। পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নেওয়া হয় সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের এবং অল্প কিছু শিক্ষার্থী নেওয়া হয় মানবিক ও বাণিজ্য ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে।

প্রশ্ন—২ : বিশ্ববিদ্যালয়ে 'আইন' পড়তে হলে কী করতে হবে?
→ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাদে দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই আইন এর জন্য আলাদা ইউনিট রয়েছে অর্থাৎ শুধু আইন এর জন্যই একটি ফরম তুলতে হয় এবং সেই ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে মেরিট লিস্টে থাকতে হবে। ওয়েটিং লিস্টে থেকে আইনে চাঞ্চ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়তে হলে "খ" ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে সিরিয়াল শুরুর দিকে থাকতে হবে এবং দু একটি শর্ত পূরণ করতে হবে যেমন- ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ১৮ নম্বর এবং বাংলায় ১৮ নম্বর পেতে হবে। আর সায়েন্স কিংবা কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ডের কেউ ঢাবিতে আইন পড়তে চাইলে তাকে "ঘ" ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে সিরিয়াল শুরুর দিকে থাকতে হবে। আর যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু আইনের জন্যই আলাদা একটা পরীক্ষা দিতে হয় সেখানে আইন একটা ওপেন ইউনিট।

প্রশ্ন—৩ : বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের সাবজেক্ট পড়তে হলে কী করতে হবে? / বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সাবজেক্ট কি নিজের ইচ্ছেমতো নেওয়া যায়?
→ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সাবজেক্ট নিজের ইচ্ছেমতো নেওয়া যায় না, তোমার পছন্দের সাবজেক্ট যে ইউনিটে রয়েছে সেই ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে সিরিয়াল শুরুর দিকে থাকলে তুমি তোমার পছন্দের সাবজেক্ট পেতে পারো। কারণ দামী সাবজেক্টগুলো সবাই নিতে চায়। তাই সিরিয়াল কতো কাছে বা দূরে তার উপরেই দামী সাবজেক্ট বা নরমাল সাবজেক্ট পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে।
এছাড়াও আরও কিছু শর্ত থাকে যেমন— ইংলিশ সাবজেক্ট পেতে হলে ভর্তি পরীক্ষায় ইংলিশে ভালো মার্ক পেতে হবে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করে যে কত নম্বর পেতে হবে। তাই দেখা যায় SSC ও HSC এর জিপিএ এবং ভর্তি পরীক্ষায় অন্যান্য বিষয়ে ভালো করে সিরিয়াল শুরুর দিকে থাকতেও ভর্তি পরীক্ষায় ইংলিশে কম নম্বর পেলে তথা শর্তে উল্লেখিত নম্বর না পেলে ইংলিশ সাবজেক্ট পাওয়া যায় না।

প্রশ্ন—৪ : শিফটভিত্তিক পরীক্ষা নিলে একই ইউনিটের পরীক্ষায় কোনো শিফটের প্রশ্ন সহজ হয় আর কোনো শিফটের প্রশ্ন কঠিন হয়; এতে কঠিন প্রশ্নের শিফটে পরীক্ষা দেওয়া পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়বে কি?
→ এটা নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিফট ভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হয় তা ঠিক এবং কোনো শিফটের প্রশ্ন সহজ হয় ও কোনো শিফটের প্রশ্ন কঠিন হয় তাও ঠিক। কিন্তু প্রতিটি শিফটের জন্য আলাদাভাবে আসন বণ্টন করা থাকে ও আলাদা মেরিট লিস্ট করা হয়। যেমন একটি ইউনিট এর মোট আসন আছে ১৮০ টি এবং ওই ইউনিটের তিনটি শিফটে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে তিনটি শিফটেরই আলাদা মেরিট লিস্ট থাকবে এবং মোট আসন ভাগ করে প্রতিটি শিফটের জন্য ৬০ টি করে আসন বরাদ্দ থাকবে।
এজন্য চাঞ্চ পেতে সেই শিফটের রেজাল্টের মেরিট লিস্টে ভালো করতে হবে। এতে সব শিফটের একটাই মেরিট লিস্ট হবে না; তাই চিন্তার কিছু নেই। আর হয়তো ভাবতে পারো অমুক শিফটের প্রশ্নগুলো ব্যক্তিগতভাবে আমার বেশি কমন ছিল কিন্তু আমি ওই শিফটা পাইনি। ব্যক্তিগত কমন ও আনকমনের বিষয়টি সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এবং লাইফের সব ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে, এটা নিয়ে ভেবে লাভ নাই।

প্রশ্ন—৫ : ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোচিং করবো না কি নিজে নিজে পড়বো? / আমি ইংরেজিতে দুর্বল এখন কী করবো?
→ কোচিং করলে কোনো ভালো কোচিংয়ে কোচিং করো। কোনো ধোঁকাবাজ কোচিংয়ে যাবে না। কিছু স্বনামধন্য কোচিং আছে কিন্তু ভিতরে সেবার মান খুবই নিম্নমানের; তারা মূলত টাকা দিয়ে চাঞ্চ পাওয়া শিক্ষার্থীদের পরিচয় কিনে পত্রিকায় দেয় যে আমাদের এই এই সাফল্য। এক্ষেত্রে প্রাইভেট প্রোগ্রামগুলো খুব ভালো সার্ভিস দেয়।
আর নিজে নিজে পড়তে চাইলে এই বইটি ও আমাদের অ্যাপস ফলো করলেই হবে। আর তুমি কোনো বিষয়ে দুর্বল থাকলে তা সেই বিষয়ের অ্যাডমিশন প্রোগ্রাম যে করায় তার কাছে পড়তে পারো।

প্রশ্ন—৬ : পরীক্ষার হলে কী কী কাগজপত্র ও জিনিসপত্র নিয়ে যাবো?
→ যে ইউনিটের পরীক্ষা দিবে সেই ইউনিটের পরীক্ষার প্রবেশপত্র তো নিয়ে যাবেই সেইসাথে HSC এর রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও আরও কিছু কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলা হয়। সেসব আরও কোন কোন কাগজপত্র নিতে হবে তা সেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকাতে কিংবা সেই পরীক্ষার প্রবেশপত্রে উল্লেখ করে দেয়। সেই মাফিক কাগজপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেই ক্যালকুলেটর ও হাতঘড়ি ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। তারপরও কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এসবের কোনো একটি ব্যবহার করতে দিবে কি না তা শুধু তাদের দেওয়া নির্দেশিকা থেকেই জানতে পারবে। যেমন- আমাদের সময়ে বেরোবি'র BBA অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে দিয়েছিল কিন্তু এখন আর ভর্তি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।

প্রশ্ন—৭ : ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঞ্চ পেয়েছি, কিন্তু সমস্যা হলো পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে নরমাল সাবজেক্ট পেয়েছি আর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষাকৃত দামী সাবজেক্ট পেয়েছি। এখন কোথায় ভর্তি হবো?
→ এই লেখাটি যেহেতু মানবিকের শিক্ষার্থীরা পড়ছো তাই বলছি, মানবিকের জন্য সাবজেক্ট দামী বা নরমাল কোনো ফ্যাক্ট না; 'আইন' বাদে তুমি মানবিকের যে সাবজেক্টই পড়ো না কেনো তা দিয়ে বিশেষ কিছু করার সুবিধা তুমি পাবে না, তোমার দক্ষতা দিয়ে চাকরিতে স্থান করে নিতে হবে; চাকরির বাজারে মানবিকের সব সাবজেক্ট একই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টিই এক্ষেত্রে প্রায়োরিটি দিবে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নত পরিবেশ তোমাকে অনেকদূর এগিয়ে দিবে যা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সমানভাবে পাবে না। ২০১০ সালে আমাদের এক আপুর ঢাবিতে ১১০০ সামথিং সিরিয়াল ছিল, ভালো সাবজেক্ট পেতো; কিন্তু অন্য একটি নতুন প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রথম হয়ে ইংলিশ সাবজেক্ট পাওয়ায় সেখানে ফার্স্ট হওয়ার আবেগে ঢাবি ছেড়ে দিয়ে সেখানে ভর্তি হয়। এটা ছিল একটা বড় ভুল। ঢাবির পরিবেশের সাথে উনার সেই স্থানে ইংরেজি পড়ার কোনো তুলনাই হয় না।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঞ্চ পাওয়াটাই লাইফের সব নয়, কোথাও চাঞ্চ পাওয়ার পর যে বিষয়ে চাঞ্চ পেয়েছো ভর্তি হওয়ায় আগে সেই ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে খোঁজখবর নাও, যদি সেই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের মধ্যে মনোমালিন্য ও সমন্বয়হীনতা থাকে (অনেকটা দ্বন্দ্বসংঘাতময় পরিবারের মতো) এবং সেইসাথে ডিপার্টমেন্টে দেড়-দুই বছরের সেশনজট থাকে তাহলে সেখানে ভর্তি হওয়াটা তোমার লাইফের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এই সময়ের দেড়-দুই বছর লাইফের অনেক কিছু উলটপালট করে দিতে পারে। প্রায়ই দেখা যায় এর কারণে অনেক সমবয়সী রিলেশনে থাকা ছেলের ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে যায়, কারণ দেখা যায় অন্যখানে পড়ে মেয়েটা পড়াশুনার ইয়ারে এগিয়ে যায় এবং ছেলেটা পিছিয়ে পড়ে। আর অনার্স শেষ হলে পরিবার কিছুতেই মেয়েকে আর বিয়ে না দিয়ে স্বস্তি পায় না, আর মেয়েটাও এতে আর কোনো যুক্তি দেখাতে পারে না। এছাড়াও ডিপার্টমেন্টের এরূপ অবস্থা মানসিক, আর্থিক ও বিভিন্নভাবে একজন শিক্ষার্থীকে দুর্বল করে দেয়। তাই সাবধান! লাইফের সবক্ষেত্রেই চিন্তাভাবনা ও হিসেব নিকেশ করে কাজ করবে। আর এসব এই টপিকের উপরে বলার মতো কথা নয়, কিন্তু লাইফের সঙ্গে রিলেটেড গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে বললাম।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিষয়ে আরও কিছু ছোটোখাটো প্রশ্ন আছে। এসব নিয়ে "বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি - ১০ প্রশ্নের উত্তর" শিরোনামে একটি লেখা University Admission Advice Desk এ খুঁজলেই পাবে। সেটিও পড়ে নিতে পারো। সেটি পড়তে চাইলে ভিজিট করো→ http://admissionadvicebd.blogspot.com এই লিংকটি।

Thanks | ধন্যবাদ

DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)
"বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রাইভেট ব্যাচ"
(বিএ/ বিএসএস)
A Project by
Md. Mahadi Hasan
Phone: 01746315639

Saturday, September 5, 2020

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ / B ইউনিটের প্রশ্ন প্যাটার্ন→


এখন তোমাদের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক অর্থাৎ "খ" ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন কাঠামো তুলে ধরবো। প্রথমেই বলি নৈব্যক্তিক বা MCQ সম্পর্কে।
জেনে রাখো প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য থাকবে ১.২৫ নম্বর করে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য মোট সঠিক এর উপর থেকে ০.২৫ নম্বর করে কেটে নেওয়া হবে!
• বাংলা : ১৬ টি প্রশ্ন অর্থাৎ ১৬×১.২৫ = ২০ নম্বর
• ইংলিশ : ১৬ টি প্রশ্ন অর্থাৎ ১৬×১.২৫ =২০ নম্বর
• সাধারণ জ্ঞান : ২৮ টি প্রশ্ন অর্থাৎ ২৮×১.২৫= ৩৫ নম্বর

এবার তোমাদের সব থেকে ঝামেলার প্রশ্ন লিখিত তথা Written পরীক্ষার ব্যাপারে বলি—
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় "খ" ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় লিখিততে থাকে—
✍️ বাংলা ২৫ মার্কস 
✍️ ইংরেজি ২০ মার্কস

✍️ বাংলা লিখিত পরীক্ষায়—
সিলেবাস থেকে একটি পাঠের মূলভাব, কবিতার উদ্ধৃতি ব্যাখ্যা, উদ্ধৃত সংলাপ ব্যাখ্যা (নাটক, গল্প থেকে)।
লেখক/ কবি পরিচিতি, মিলকরণ মানে সম্ভবত টেবিল (সেই প্রাইমারির মতো),
সারমর্ম/ সারাংশ লিখন, বানান শুদ্ধি ও প্রমিতকরণ, সংক্ষিপ্ত অনুচ্ছেদ লিখন, ব্যাকরণভুক্ত সংজ্ঞা ও দৃষ্টান্ত, অনুবাদ ইত্যাদি বিষয় বেশি গুরুত্ব পাবে বলা হয়েছে।

✍️ ইংলিশ রিটেনে—
Comprehension, short paragraph, explanation with reference to the context (বই থেকে কিছু একটা দিয়ে ব্যাখ্যা করতে বলা হবে), rearrange, punctuation, translation, with clue/ without clue, transformation of sentence, sentence making (বাক্য রচনা) এসব থেকে প্রশ্ন আসবে। বেশিরগুলার সাথে তোমরা পরিচিত। ইন্টারে এসব এক্সামে দিয়ে আসছো। 

👉 পাশ মার্কস—
বাংলা ৬, ইংরেজি ৬, জিকে ১২ সহ এমসিকিউতে মোট ৩০ পেতে হবে।
রিটেনে পাশ মার্কস টোটাল ১২। 
আবার রিটেন + এমসিকিউ মিলিয়ে টোটাল ৪৮ পাশ মার্কস।

👉 এমসিকিউতে নেগেটিভ মার্কিং ০.২৫ করে। 
👉 পরীক্ষার হলে ক্যালকুলেটর/ ঘড়ি নেয়া যাবে না।

তোমাদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় মোট ২০০ নম্বরের উপরে।
তার মধ্যে ৮০ নম্বর থাকবে তোমার SSC এবং HSC পরীক্ষার মোট GPA এর উপরে। বাকি ১২০ নম্বরে থাকবে পরীক্ষা।

Thanks | ধন্যবাদ

DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)
"বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রাইভেট ব্যাচ"
(বিএ/ বিএসএস)
A Project by
Md. Mahadi Hasan
Phone: 01746315639